Header Ads

Header ADS

বিজ্ঞানীদের উৎসাহ না দিলে, দেশে বিজ্ঞানীর জন্ম হবে কিভাবে?

বিজ্ঞানীদের উৎসাহ না দিলে, দেশে বিজ্ঞানীর জন্ম হবে কিভাবে?


নিউজ ডেস্ক : ভেন্টিলেটরের অভাবে যখন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ড. মইন মারা যায়, হাজারো করোনা রোগীর চিকিৎসা দেয়া কঠিন হয়ে পড়ছে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে, তখন কি ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী সানী জুবায়ের এর তৈরি করা সাশ্রয়ী এই ভেন্টিলেটরটি করোনা রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত হাসপাতালগুলোতে প্রদান করার কথা ভাবতে পারে সরকার? স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয় নয়, কারণ তাহলে এখানেও এখন টেন্ডার সহ নানা ব্যবসায়িক চিন্তা প্রবেশ করানো হবে|

তাই সরকার এর সরাসরি হস্তক্ষেপে যদি সানী জুবায়ের এর এই স্বল্প মূল্যের ভেন্টিলেটরটি কীভাবে দ্রুত এর ব্যবহারিক প্রয়োগ করা যায় তার ব্যবস্থা করে তাহলে আমাদের ভেন্টিলেটর সঙ্কট যেমন কমে আসবে তেমনিভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থায় নতুন একটি সংযোজন হবে। এর মাধ্যমে হয়তো আরও অনেক তরুণ বিজ্ঞানী এগিয়ে আসবে তাদের নিজস্ব সৃষ্টি নিয়ে কিংবা নতুন কিছু উদ্ভাবনে নিজেকে নিয়োজিত করতে উৎসাহ পাবে| প্রয়োজনে আসলেই এটা কার্যকরী কিনা, তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে| প্রয়োজনে সরকারী কমিটি করে দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে|কিন্তু দেশের ক্রান্তিলগ্নে তারুণ্যের এই চেষ্টা, ভালোবাসাগুলোকে মূল্য দিতে শিখতে হবে আমাদের| নয়তো দেশ অর্থনীতিতে আগালেও সামাজিক ও মানসিকভাবে অনেক পিছিয়ে পড়বে| কেবল অর্থনীতিই একটি দেশকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে না! তাহলে একজন মানুষ কোটিপতি হয়ে একা বসবাস করতে পারতো, তা না করে সে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের মাঝে থাকতে চায়! কারণ মানুষের বাঁচার জন্য একটা সুস্থ স্বাভাবিক সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাই চায়|
পৃথিবীর অন্যান্য দেশে শিক্ষার্থীদের এসব উদ্ভাবনী শক্তিকে যখন অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে এই মুহূর্তে, আমাদের দেশে অনেক ক্ষেত্রেই ততোটাই অবহেলা করা হয়!! তার প্রমাণ কাল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টেস্টিং কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আসেননি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোনও প্রতিনিধি! বিজ্ঞানীদের উৎসাহ না দিলে, দেশে বিজ্ঞানীর জন্ম হবে কিভাবে? আমাদের এই লোভী নষ্ট সমাজ সব ভুলে আজ আর্য আচার্য জগদীশ পুনর্জন্মের জন্য সুব্যবস্থা করুক|
ড. বিজন কুমার শীলদের জন্য আমরা গর্ব করতে শিখি ও শেখাই! তানাহলে তারুণ্য বিজ্ঞানী হবার চেয়ে শর্টকাটে কিভাবে কোটিপতি/লাখপতি হওয়া যায় তার স্বপ্ন দেখলে, তা নিয়ে হা হুতাশ করে লাভ হবেনা! আর এই শর্ট কাটে ধনী হতে গিয়েই সমাজে ঘটে এতো সব লঙ্কা কাণ্ড, দুর্নীতি, খুন, রাহাজানি, নির্যাতন, নিপীড়ন!
আমরা ভুলে যাই, আমাদের দেশের বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু প্রথম বিশ্ববাসীর কাছে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করেছিলেন যে, উদ্ভিদের প্রাণ আছে, গাছপালাও আঘাতে সাড়া দেয়! বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের একজন হয়েও আমাদের কজন তার সম্পর্কে জানে? কয়জন আমরা তাঁকে নিয়ে গর্ববোধ করি? কয়টি পত্রিকা তাঁর জন্ম মৃত্যু দিবসকে স্বরণ করে? আমরা কি কখনো কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর মতো গর্ব নিয়ে বলি, “ভারতের কোনও বৃদ্ধ ঋষির তরুণ মূর্তি তুমি হে আর্য আচার্য জগদীশ।”?

লেখক: রাশেদা রওনক খান, শিক্ষক, ঢাবি। (ফেসুবক থেকে সংগৃহীত)

More News Like Our Facebook Page Click Here
More News Subscribe Our Youtube Channel Click Here

More News Follow My Facebook Account Click Here

Post:- HabiB HowladeR  ||  Utbhabibpk 

No comments

Powered by Blogger.